Friday, 6 May 2022

রবীন বসুর দুটি কবিতা--


রবীন বসুর দুটি কবিতা--

দাগ

কিছু দাগ ছিল মনে, দূরত্ব বাড়িয়ে আছে হাত
বহু দূর থেকে গ্রাম হাতছানি দিয়ে ডাকে রোজ
সেখানে বেড়ার ধারে পুঁইমাচা নটেশাক স্মৃতি
আমাকে ঘুমের মধ্যে জাগিয়েছে রূপকথা রাত।

নগরে বিষাদ জমে, সিলিংয়ে ঝুলে আছে দড়ি
অন্ধকার ভেঙে যায় বহুবর্ণ কাঁচের কোলাজ
জীবন কেন যে টানে? কেন বা ধূসরতা ছড়ায়
তারার কম্পনে মাপি অসহায় এই কানাকড়ি।

যে দাগের ক্ষত ছিল সংগোপন গভীর নিহিত
আমি তার বুকে বসি আড়াআড়ি ভাঙন ব্যাকুল
যন্ত্রণার জলছাপ টুকরো টুকরো আত্মরতি
নিজেকে ভাসাই যদি পেয়ে যাবো একান্ত বিহিত?

জানি না দাগের চিহ্ন, জানি না ক্ষয়ের খতিয়ান
আমি শুধু প্রাণে ধরি, তাকে ছাড়া মহা মুহ্যমান!

সুচতুর শরীর প্রত্যাশী

এই যে কুৎসিত মুখ, এই যে আলোর পিঠে অন্ধকার
এই গোপন গুপ্ত নখ, এই বিকৃতির হাসি হায়নার
সবটুকু গিলে খায় সময়তাড়িত এই প্রকাশ্যতা
মাঝখানে ঝুলে আছে অসভ্য লাম্পট্য ভরা অধীরতা।

বিশ্বাসের লাঞ্ছনায় পরিবার বিধ্বস্ত হয় প্রতিদিন
সমস্ত ক্রোধ উজাড় করে সম্পর্কের সিদ্ধান্ত কঠিন।
তুমি শুধু অবপাত, ভাসাও এক যুক্তিহীন হুমকি
সাজাও ব্ল্যাকমেইল ঘুঁটি সুচতুর শরীর প্রত্যাশী।

খেলেছ অনেক খেলা, নিঃশব্দে সম্মোহন বাণে আতুর 
ভিজেছে কিশোরী মেয়ে ডুবেছে মধ্যবয়স সংসার
উদ্দেশ্য নিহিত ছিল, ছিল কোন গুপ্তযোগের প্রশ্রয়
রোমান্টিকতা নয় এ এক ব্যাভিচার আমূল আশ্রয়।

তোমাকে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গের কশাঘাত হানবে আজ সাহিত্য
করুণা কোথাও নেই, মানুষের ভালোবাসার আতিথ্য।


No comments:

অদিতি ঘটকের দুটি কবিতা--

অদিতি ঘটকের দুটি কবিতা-- জীবাশ্ম আর পাপোশে ধুলো ঝেড়ে ঘরে ঢুকি না  কারন ধুলোই আমার আবাস আর আমি সেই ধুলোর মধ্যে মিশে থাকা জীবাশ্ম ...