Friday, 6 May 2022

ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা --


ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা --

ভালোবাসা


এখন পাখির অবশ ডানা

বিফল যে তার স্বপ্নখানা

ভেবেছিল জীবনখানা

অসীম ডাকে কাটবে।


ভোর হতে সে ঘর ছাড়ল

বিভুঁই আকাশ আপন হল

ভাবলে মনে এই আছি বেশ

ঘরের মায়ার থাকল না রেশ।


আকাশ পথে পাড়ি দিল

ডানার শক্তি বুঝে গেল

আকাশ বলে পাগল পাখি

ঘরের দিকে ফেরাও আঁখি।


পাখির চোখ জলে ভরা

আকাশ কে যায় না ধরা।

কন্ঠে এল বিরহগান

সুরে সবার প্রাণ আনচান।


অবশডানা ঝাপটে চলে

হৃদয়ে প্রেম কথা বলে।

আকাশ পাখির ভালোবাসা

বুকের মধ্যে ছোট্ট আশা।


নাই বা হল মিলন ওদের

ছোট্ট আশা কম বা কিসের?


তোমার অসীমে


এবার যখন যাবো চলে

কিচ্ছুটি না কথা বলে

নীরব হয়ে শান্ত হয়ে

শিউলি ফুলের মতো


তুমি যখন বাঁশির সুরে

খুঁজবে আমায় উদাস সুরে

প্রতিধ্বনি ফেরত পাবে

অধীর হয়ে আমায় চাবে।


খুনসুটি আর কাঙালপনা

চাইবে যখন হৃদয়খানা

আকাশ পানে চাইবে তখন

চাঁদপানা সেই মুখখানা।


আমার তখন আমোদ ভারি

পরনে নীলাম্বরী শাড়ি

আকাশ হয়ে ধরা দেবো

অনন্তেরই ডাক শোনাবো।


তোমার বাঁশি ডাকবে আমায়

দিগন্তরে দূর নীলিমায়

আকুল করা সেই সুরেতেই

মুক্তি পাবো  মুক্তি পাবো।


যদি বৃষ্টি নামে



যদি বৃষ্টি নামে

তবে অনেকটা ভিজবো

আর অনেকটা ভালোবাসবো।

বৃষ্টি মানে তো ভালোবাসাই।


যদি বৃষ্টি নামে

উথাল পাথাল উদাস হাওয়ায়

উড়বে আমার কেশদাম।

আমার চোখের পাতা

ভিজে নরম হবে

বৃষ্টির আদরে।


বৃষ্টি মানেই তো তুমি।

তুমি তো বৃষ্টি বাউল।

হাতে তোমার একতারা।

উদাস সুরে ভাসবো দুজন

হাসবো তখন কলকলিয়ে।


এমনি যদি বৃষ্টি আসে

হৃদকমলে অচিনপুরে।

মায়ার কাজল ছড়িয়ে দেবো

ভরবে জীবন গানের সুরে।

No comments:

অদিতি ঘটকের দুটি কবিতা--

অদিতি ঘটকের দুটি কবিতা-- জীবাশ্ম আর পাপোশে ধুলো ঝেড়ে ঘরে ঢুকি না  কারন ধুলোই আমার আবাস আর আমি সেই ধুলোর মধ্যে মিশে থাকা জীবাশ্ম ...